লাল চিনি ও ডায়াবেটিস: কতটা উপকারী?

১. পরিশোধিত নয়:

লাল চিনি সাধারণত কম পরিশোধিত থাকে, যার মানে এতে কিছু প্রাকৃতিক খনিজ (যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম) অবশিষ্ট থাকে। সাদা চিনির তুলনায় এটি কিছুটা স্বাস্থ্যকর হলেও এখনো এটি গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।

২. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI):

লাল চিনির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সাদা চিনির তুলনায় অল্প কম হলেও, এটি এখনো উচ্চ GI-এর মধ্যেই পড়ে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কম GI যুক্ত খাবারই নিরাপদ।

৩. পরিমাণই মূল কথা:

ডায়াবেটিস থাকলে লাল চিনি একেবারে নিষিদ্ধ না হলেও, এটি অত্যন্ত সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। অনেক সময় বিশেষজ্ঞরা দিনে ১ চামচের মতো পরামর্শ দেন, তাও যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪. প্রাকৃতিক বিকল্প:

লাল চিনি একবারে বর্জন না করে, আপনি এটি মাঝে মাঝে স্বাদের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যবহার করতে পারেন। তবে স্টেভিয়া, ডেট সিরাপ, বা অন্যান্য প্রাকৃতিক সুইটনার ডায়াবেটিকদের জন্য আরও নিরাপদ বিকল্প হতে পারে।